কথা রাখলেন পাবনার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমার। উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের সেই মেধাবী ছাত্রী সীমার মাকে সেলাই মেশিন ও ভাইকে সাইকেল উপহার দিলেন তিনি।
রোববার বিকেল ৫টার দিকে তাঁর অফিসে ডেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমার মা কোহিনূর খাতুনকে স্বাবলম্বী করে তুলতে একটি সেলাই মেশিন এবং ভাই কাওসার আলীর হাতে একটি বাই সাইকেল তুলে দেন ইউএনও। এ সময় ইউএনও’র দেয়া উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অসহায় পরিবারের সবাই।
এর আগে গত শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সীমাদের বাড়িতে নিজে বাজার করে দুপুরের খাবার খান ইউএনও সরকার অসীম কুমার। সেদিন এই উপহার গুলো তাদেরকে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সরকার অসীম কুমার।
উল্লেখ্য, দারিদ্রতাকে জয় করে উপজেলার মথুরাপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের দিনমজুর আবদুল ওয়াহাব প্রামানিক ও গৃহিণী কোহিনূর খাতুনের মেয়ে এবার চাটমোহর মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে বাণিজ্যে বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে পাশ করে।
শুধু সীমাই নয়, তার বড় বোন শিখাও মানবিক বিভাগ থেকে একই সঙ্গে পাশ করে। ভালো ফল করেও যখন তাদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল ঠিক সে সময় খোঁজখবরে ‘ভালো ফল করেও সীমার চোখে অশ্রু’ এমন শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে সংবাদটি দেখে ১ আগস্ট সীমাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের দুই বোনের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন তিনি।
ওই সময় ইউএনও’র কাছে সীমার বাবা-মা দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য আবদার করলে গত শুক্রবার নিজে বাজার করে তাদের বাড়িতে গিয়ে দুপুরের খাবার খান।
এ সময় ওই পরিবারের ভাঙ্গাচোরা বসত ঘর দেখে ঘর মেরামত, সীমার মা কোহিনূর খাতুনকে সেলাই মেশিন এবং ছোট ভাই কাওসারকে একটি বাই সাইকেল উপহার দেয়ায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইউএনও।
সীমা পড়াশোনা শেষ করে পুলিশ অফিসার এবং শিখা স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের অভাব দূর করতে চায়। দুই বোনের স্বপ্ন পূরণে ইউএনও’র এমন মানবিকতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে পরিবারটি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign