দুইদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন পাবনার চাটমোহরে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী শান্ত হোসেন (২০)।
সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত শান্ত উপজেলার ধুলাউৃড়ি গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে ও ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
এর আগে রোববার মারা যান একই দূর্ঘটনায় আহত একই গ্রামের বাবলুর রহমানের ছেলে আকাশ সরকার জয়।
এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবরে শান্তর মা সাবিনা ইয়াসমিন শোকে স্তদ্ধ হয়ে গেছেন। মাঝে মাঝেই জ্ঞান হারাচ্ছেন। কোন সান্তনা দিয়ে তাকে থামানো যাচ্ছে না। অঝোরে কেঁদে চলেছেন বাবা ইয়াসিন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিল শান্ত।
বাবা-মা’র স্বপ্ন ছিল ছেলে প্রকৌশলী হয়ে ভবিষ্যতে বড় কোন চাকরি করবে। কিন্তু মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা কেড়ে নিল তাদের সব স্বপ্ন। এদিকে একই গ্রামে দুই মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুতে চলছে শোকের মাতম। পুরো গ্রামের মানুষ শোকে স্তদ্ধ হয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, অতি সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসে শান্ত। গত শনিবার সকালে তিনটি মোটর সাইকেলে মোট পাঁচজন বন্ধু গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা এলাকায় চলনবিল দেখতে যান। বাড়ি ফেরার পথে বিকেলে ৩টার দিকে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের বাওনবাজার এলাকায় মোটর সাইকেল ও ব্যাটারি চালিত অটোভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে গুরুতর আহত হয় শান্ত-আকাশসহ মোট ৭জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহতাবস্থায় শান্তকে রাজশাহী এবং আকাশকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদের চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আকাশকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh