পাবনার নারী সাংবাদিক সুবর্ণা আক্তার নদী হাসপাতালে মৃত্যুর আগে হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন তার মা ও মেয়েকে। নদী জানিয়ে গেছেন যে, তার সাবেক স্বামী রাজীব ও রাজীবের সহকারী মিলনসহ কয়েকজন তার ওপর হামলা করে কুপিয়েছে।
সুবর্ণার মা মর্জিনা বেগম বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ে নদী তার মৃত্যুর আগে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় হামলাকারীদের নাম আমাদের জানিয়ে গেছে। তার সাবেক স্বামী রাজীব ও তার সহকারী মিলনসহ কয়েকজন তাকে এলোপাথারী কুপিয়েছিল। আমার মেয়ে তাদের চিনতে পেরেছিল। পুলিশ ও র্যাবকে এসব তথ্য জানিয়েছি বলে জানান মর্জিনা বেগম। নিহত সুবর্ণার সাত বছরের মেয়ে জান্নাতও একই তথ্য পুলিশকে জানিয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা মজির্না বেগম বাদি হয়ে নদীর সাবেক শ্বশুড়-সাবেক স্বামীসহ তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নদীর সাবেক শ্বশুড় আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সুবর্ণা নদীর বড় বোন চম্পা খাতুন জানান, আবুল হোসেনের ছেলে রাজীব হোসেনের সঙ্গে তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সুবর্ণার। বছরখানেক আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর সুবর্ণা পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি যৌতুক মামলা করেন। এ মামলায় সুবর্ণা তার সাবেক স্বামী রাজীব ও তার বাবা আবুল হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করেন।
মঙ্গলবার এ মামলার সাক্ষ্য দেয়ার দিন ছিল। এতে সুবর্ণা তার পক্ষে আদালতে সাক্ষ্যও উপস্থাপন করেন। নদীর বোন চম্পার দাবি, মামলায় ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সুবর্ণাকে হত্যা করেছে।
সুবর্ণা নদীর স্বজনরা জানান, ইতিপূর্বেও সুবর্ণা নদীকে বিভিন্ন ভাবে শহরে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হয়। গত বছরের (২০১৭) জুনে তার গলায় চাকু চালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তারা। পরে সুবর্ণা নদী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পাবনা সংবাদপত্র পরিষদ মিলনায়তনে গত ওই বছরের ২২ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন। পরে ওই বছরেই ৩ অক্টোবর একই দাবিতে ঢাকার ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
রাজীবের সঙ্গে বিয়ের আগে নদীর আরেকটি বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে তার ৭ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
সুবর্ণা নদী বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি ও পাবনার স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল দৈনিক জাগ্রতবাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। সুবর্ণা নদী জেলার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর মেয়ে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign