ঈদুল আজহার ছুটি কাটাতে ঘরে ফিরছে কর্মজীবি মানুষ। রেলওয়ে স্টেশন, বাসষ্টপ থেকে শুরু করে প্রতিটি জায়গায় তিল ধারণের জায়গা নেই। চারিদিকে শুধুই ঘরে ফেরা মানুষের কোলাহল। গত দু’দিন ধরে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের রেলপথে যাতায়াতকারী ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করছেন শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরা। বাদ যাচ্ছেন না নারীরাও। এই সুযোগে জমজমাট মই ব্যবসা শুরু করেছেন এক শ্রেণীর মৌসুমি মই ব্যবসায়ী। এরমধ্যে রয়েছেন নারীরাও।
পাবনার চাটমোহর ষ্টেশনে ট্রেন থামার সাথে সাথে মই নিয়ে হাজির হয়ে যাচ্ছেন তারা। যাত্রীরা ট্রেনের ছাদ থেকে নামলেই দিতে হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা।
সরেজমিনে সোমাবার দুপুরে চাটমোহর রেলষ্টেশনে অবস্থান করে দেখা গেছে, ষ্টেশনে নেই তিল ধারণের জায়গা। ট্রেন ষ্টেশনে থামা মাত্রই মৌসুমি মই ব্যবসায়ীরা ট্রেনের ছাদে মই লাগাচ্ছেন। জনপ্রতি নিচ্ছেন ১০ থেকে ২০ টাকা। অনেক যাত্রী আবার ছাদ থেকে লাফ দিয়েই নামছেন।
শুধু তাই নয় প্লাটফর্মের উল্টোদিকেও লাগানো হচ্ছে মই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মই দিয়ে শিশু-কিশোর থেকে নারী-পুরুষ সবাই নামছেন। পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আন্তঃনগর সুন্দরবন, চিত্রা, ধূমকেতু, সিল্কসিটি, লালমনি এক্সপ্রেস, দ্রুতযান ও ঈদ স্পেশাল ট্রেনে চেপে চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কর্মজীবি মানুষ ফিরছেন ঘরে।
শুধু চাটমোহর নয়, পাবনা সদর, আটঘরিয়া, নাটোরের বড়াইগ্রামসহ অন্যান্য উপজেলার ঈদে ঘরমুখো মানুষ আসছেন ট্রেনে। এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। তবে সাংবাদিকদের ছবি তোলা দেখেই সটকে পড়েন মই ব্যবসায়ীরা।
পার্শ্ববতী উপজেলা আটঘরিয়া উপজেলার শফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল গ্রামের বিলকিস খাতুনকে ট্রেনের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, ট্রেনের ভেতরে পা রাখার জায়গা নেই। ঝুঁকি না নিলে বাড়ি আসবো কি করে?
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চাটমোহর স্টেশন মাস্টার মহিউল ইসলাম বলেন, ট্রেনের ছাদে ভ্রমণের ব্যাপারে যাত্রীদের সচেতন হওয়া উচিত। আসলে ভিড়ের মধ্যে সবকিছু সামলানো কঠিন। তবে যারা মই লাগিয়ে টাকা নিচ্ছেন তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খোঁজখবর/এসআর
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign