পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ১৯ দিনের ব্যবধানে তিনটি বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৯ আগষ্ট হতে ১৬ সেপ্টম্বর পর্যন্ত এ উপজেলায় এই তিনটি বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৯ আগষ্ট উপজেলার হাটগ্রামের রুহুল আমিনের নাবালিকা মেয়ে শাম্মি আকতার (১৩), গত ৯ সেপ্টম্বর ভবানীপুর ভাটোপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সাব্বির হোসেন (১৭) এবং গত ১৬ সেপ্টম্বর হাটগ্রামের শাহজাহান আলীর নাবালক ছেলে শামীম হোসেন (১৬) এর বিয়ে সম্পন্ন হয়।
তিনটি বিয়ের বর-কনেই অপ্রাপ্ত বয়সের। কনেরা সবাই অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বলে অভিযোগ উঠেছে।
পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ হেদায়তুল্লাহ বলেন, আমার ইউনিয়নের পাটুলিপাড়া হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা খাতুন গত শনিবার রাতে বিয়ের দাবিতে হাটগ্রামে প্রেমিক শামীম হোসেনের বাড়ি হাজির হয়।
খবর পেয়ে ঐ রাতেই আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে মেয়েকে তার পিতার হাতে বুঝে দিয়ে আসি। পরে তারা নোটারি পাবলিকে বয়স বাড়িয়ে পাবনা সদরের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের কাজী অফিসে বিয়ে সম্পন্ন করে বলে জানান চেয়ারম্যান।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজা সুলতানা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ অবহিত করেনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাল্য বিয়ে নিরোধ কল্পে উপজেলায় একটি কার্য নির্বাহী কমিটি রয়েছে। যার সভাপতি ইউএনও এবং সদস্য মহিলা বিষযক, সমাজ সেবা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও ওসিসহ সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা।
অভিজ্ঞ মহলের মতে এই কমিটির সদস্যরা সক্রিয় নয় বলে বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটছে। তারা সক্রিয় থাকলে বাল্য বিয়ে রোধ করা সম্ভব হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign