পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলোর ঐতিহ্যবাহী অষ্টমনিষা উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপনে ম্যানেজিং কমিটির গঠনের অভিযোগ উঠেছে। এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে এলাকার চিহ্নিত এক জামাত নেতাকে। তার প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা বুধবার মানববন্ধনের আয়োজন করলে তাতে বাধা দেন স্থানীয় যুবলীগ নেতারা।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা মজির ও তার অনুসারীরা মানববন্ধনে উপস্থিত লোকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিদ্যালয় এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার শতাধিক অভিভাবকবৃন্দের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দেয় এলাকাবাসী। অভিযোগের অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে পাঠিয়েছেন তারা।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর একটার দিকে মানববন্ধনের জন্য বৃষ্টি থাকা স্বত্বেও এলাকাবাসী ও অভিভাবকবৃন্দ বিদ্যালয়ের পাশে অষ্টমনিষা ইউনিয়ন পরিষদে জড়ো হন। তারা মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেয়ার সময় ঐ ইউনিয়ন যুলীগের সভাপতি ও বিভিন্ন মামালার সাজা ও জামিনপ্রাপ্ত আসামী মজির আলী, বাদশাহ, সাইফুল, মুন্নাফ সহ আরও অনেকে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে তারা সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও শ্লোগান দিতে দিতে বিদ্যালয় থেকে এক কি.মি দুরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এই বিদ্যালয়ের বর্তমান কমটির সভাপতি মোঃ মোজাম্মেল হক মোজাম এলাকায় জামাত নেতা হিসেবে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রীকে কুটুক্তিসহ বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধে বিভিন্ন মামলার আসামী এই মোজাম হাজতবাসও করেছেন একাধীকবার। বর্তমানে বেশ কিছু মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনছার আলী তার আপন ভাগ্নে। মূলত তার কারসাজি ও স্থানীয় কিছু আওয়ামীলীগ নেতার যোগসাজসে সবার অগোচরে কোন রকম নির্বাচন ছাড়াই নিজেদের পছন্দমত শিক্ষক প্রতিনিধি ও অভিভাবক সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে গোপনে কমিটি করায় ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকের অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে। এই কমিটি চলমান থাকলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশে নষ্ট হবে এবং আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এলাকাবাসী ও অভিভাবকগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
অষ্টমনিষা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মজির আলী বলেন, মোজাম এই বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য, তাই আমরা তাকে সমর্থন দিয়েছি। আর এলাবাসী বিদ্যালয়ের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল, তাই তাদের এখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি।
মানববন্ধনে উপস্থিত সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম বলেন, নিয়ম বহির্ভুতভাবে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এই কমিটি মানি না। এই কমিটির সভাপতি একজন জেলখাটা দাগী আসামী। এই লোক সভাপতি থাকলে প্রতিষ্ঠান নষ্ট হবে। আমার এই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি চাই।
লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত করছে। তদন্তের ফলাফল পাওয়া গেলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign