আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। দু’টি ইউনিটে ১ হাজার ২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২৫ হাজার ৭০৫ জন। অর্থাৎ প্রতিটি আসনের বিপরীতে ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেবে ২৫ জন পরীক্ষার্থী।
শান্তিপূর্ন ও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসন। এদিকে, ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের এবার বিনা খরচে থাকা-খাওয়া (মেহমানদারী’র ব্যবস্থা) সহ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পাবনার প্রশাসন সহ বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রবেশের প্রথম ধাপ ভর্তি পরীক্ষা। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা। এবছর দু’টি ইউনিটের ১ হাজার ২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা দিয়েছেন ২৫ হাজার ৭০৫ জন পরীক্ষার্থী। এক্ষেত্রে প্রতি আসনে লড়বেন ২৫ জন পরীক্ষার্থী। সকাল দশটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ ইউনিট এবং বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শহরের ১৫টি কেন্দ্রে।
এদিকে, প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে থাকা-খাওয়ার বিষয়ে অভিভাবক-পরীক্ষার্থীদের পড়তে হয় মহাবিপাকে। তবে আশার কথা, এবছর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের বিনা খরচে থাকা-খাওয়া (মেহমানদারী) ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে পাবনার বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে এসেছে এমন উদ্যোগে শামিল হতে। কেন্দ্রে আনা-নেয়া করতে গাড়ির ব্যবস্থা, অসুস্থ্য হলে তাদের স্বাস্থ্যসেবা করতে প্রস্তুত শহরের বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও।
এ বিষয়ের উদ্যোক্তা পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ বলেন, ইতিমধ্যে ৪১টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরো পরীক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থাও করে রাখা হয়েছে। সেইসাথে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের খাবার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পরীক্ষার্থী অভিভাবক মিলিয়ে ৫০ হাজার মানুষের মেহমানদারি সুষ্ঠুভাবে করতে সবাই কাজ করছেন বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, পাবনা পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২শ’ ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইসাথে ৬ শতাধিক ছাত্রের জন্য পুলিশের আবাসন ছেড়ে দেয়া হবে, তাঁবু টাঙানো হয়েছে, সেখানেও অনেকে থাকবে। প্রয়োজনে এক রাত পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জেগে থাকবে। আর পুলিশ সদস্যদের খাবার পরীক্ষার্থীদের সাথে ভাগাভাগি করে সবাই খাবে। আর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে কেউ কোনো ধরনের সমস্যার মধ্যে না পড়ে।
পাবনাবাসীর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা। নিরাপদে পরীক্ষা দেয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ডক্টর প্রীতম কুমার দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা প্রশাসনসহ পাবনাবাসী যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা নি:সন্দেহে ভাল উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমবে এবং তারা নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপুর্নভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করেন তিনি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign