চারুকলায় পড়াশোনা করার কারণে কারো সৃষ্টিকর্ম দেখলে মুগ্ধ হন জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী। শুধু মুগ্ধতাই নয়, নিজের মতামতের মাধ্যমে অনুভূতি জানানোর চেষ্টা করেন তিনি। তেমনি ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে মাহমুদুল হাসানের কিছু চিত্রকর্ম মুগ্ধ করে চঞ্চলকে। আর তাতে মতামত জানানোর পর ফেসবুকে ইনবক্সে মাহমুদুল হাসানের পোর্ট্রেট ড্রয়িং পেয়ে চমকে যান চঞ্চল চৌধুরী। আর এমন একটি উপহার পাওয়ার বিষয়টি চঞ্চল চৌধুরী তার ফেসবুকেও তুলে ধরেন।
চঞ্চল বলেন, ‘চারুকলায় পড়াশোনা করে এখন অভিনয়টাই নিয়মিত করছি। সেভাবে ছবি আঁকা হয় না। কিন্তু ফেসবুকে যখন দেখি কেউ ভালো ছবি আঁকছেন, তাঁর ইনবক্সে গিয়ে ভালো লাগার অনুভূতি জানাই। ফেসবুকে বন্ধু হিসেবেও যুক্ত হই। আমার সঙ্গে এ রকম প্রায়ই হয়। চারুকলায় আমার পরে যাঁরা এসেছেন, যাঁরা ভালো ভালো ছবি আঁকেন, তাঁদের সঙ্গে নিজে থেকে পরিচিত হই। তাঁরাও আমাকে ভালোবেসে গ্রহণ করেন। সব সময় তাঁদের কাজের ব্যাপারে আমার মতামত দিই।
এটা আমার নিত্যনৈমিত্তিক কাজের অংশ বলতে পারেন। এর বাইরেও অন্য পেশার কেউ আমাকে মুগ্ধ করলে সেই মুগ্ধতার কথা জানাই। কিছুদিন ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে একজন পোর্ট্রেট এঁকে আমাকে পাঠিয়েছেন। সেটাও আমি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম।’
চঞ্চল জানান, মাহমুদুল হাসান, চারুকলার গ্রাফিকস ডিজাইনের শিক্ষার্থী ছিল। তিনি বলেন, ‘হাসানের ওয়ালে একটা ছবি পেলাম। এরপর ইনবক্সে গিয়ে বলি, তুমি যে ছবিগুলো এঁকেছ, আঁকার স্টাইলটা আমার ভালো লেগেছে। তোমার জন্য শুভকামনা। সঙ্গে সঙ্গে সে–ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন, আপনি আমার আঁকা পছন্দ করেছেন, এটা আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণার। এরপর আমিই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালাম। বন্ধু হলাম। আজকে দেখি যে আমার ইনবক্সে একটা ছবি এঁকে পাঠিয়েছে। এটা আমাকে অবাক করেছে।’
চঞ্চলের মতে, শিল্পের কদর করতে হয়। কদর না করলে শিল্প বাড়ে না। শিল্পীরাও সৃষ্টিকর্ম তৈরিতে খুব একটা উৎসাহিত হন না। আমি মনে করি, একজন মানুষ ভালো কাজ করলে তাঁর প্রশংসা করাই উচিত। আমরা তো দিন দিন প্রশংসা করাটা ভুলে যাচ্ছি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh