শনিবার ঘড়ির কাঁটায় ঠিক সকাল ১১টা। ‘ফণী’র প্রভাবে পাবনার চাটমোহরে হচ্ছিল মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া। রাস্তাঘাট ছিল একদম ফাঁকা। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হননি।
তবে পুরাতন বাজার এলাকায় অগ্রণী ব্যাংকের (নারিকেল পাড়া শাখায়) সামনে ছিল বয়স্ক মানুষদের দীর্ঘ লাইন। সবাই এসেছিলেন ভাতার টাকা নিতে। কেউ বৃষ্টিতে ভিজে আবার কেউ বা দোকান পাটের নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
সবাই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন থেকে ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে এসেছেন বয়স্ক ও বিধবা ভাতার টাকা নিতে। বয়সের ভারে আসতে কষ্ট হলেও প্রতি ৩ মাস পর এই ভাতার টাকায় হাঁসি ফোটে বৃদ্ধ মানুষগুলোর।
তাই বৃষ্টি ঘরে আটকে রাখতে না পারলেও দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন এইসব বৃদ্ধ মানুষেরা। তবে তাদের সবার একটাই দাবি ছিল, ‘ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এলাকায় বসে ভাতার টাকা দিলে বৃদ্ধ বয়সে কষ্ট লাঘব হতো।’
কথা হয় ভাতাভোগী নূর আলী সরদার নামে চুরাশি বছর বয়সী এক বৃদ্ধের সাথে। কষ্টের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাতার টাকা পাই বলে ছেলেদের কাছে হাত পাততে হয় না। কিন্তু রাস্তার যে অবস্থা তাতে আমাদের আসতে খুব কষ্ট হয়। বয়সও হয়েছে। আর বৃষ্টির কারণে কষ্ট আরও বেড়েছে। যদি ইউনিয়ন পরিষদে বসে টাকাগুলো দিতো তাহলে আমাদের মতো বৃদ্ধ মানুষগুলোকে কষ্ট পেতে হতো না।’
এ ব্যাপারে চাটমোহর অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার (নারিকেল পাড়া শাখা) বারীউল হক জানান, সত্যিই বৃদ্ধ মানুষগুলোর কষ্ট হয়। আর ব্যাংকের জায়গাও অনেক ছোট। এছাড়া হটাৎ করেই আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে তাদের কষ্টের মাত্রাটা বেড়ে গেছে। আমি নতুন এই ব্যাংকে যোগদান করেছি। আগামীতে আমরা ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে পরিষদে বসেই ভাতার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign