পাবনার চাটমোহরে ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে ক্লিনিক মালিক, কথিত চিকিৎসকসহ তিনজনকে আসামী করে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে মৃত প্রসূতি তাছলিমা খাতুনের বাবা মজনুর রহমান মজনু বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন-ক্লিনিক মালিক চাটমোহর পৌর সদরের আফ্রাতপাড়া মহল্লার তোফাজ্জল সরদারের ছেলে আমির হোসেন বাবলু (৫৫), কথিত চিকিৎসক নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জালোরা গীর্জার মোড় এলাকার মো: ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন নিবির (২৭) ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গোরুরা দক্ষিণপাড়া এলাকার মো: আজিজুল হকের ছেলে বর্তমানে বড়াইগ্রামের বনপাড়ার বাসিন্দা মো: আসাদুজ্জামান (৩৮)।
বুধবার সকালে আটক সাদ্দাম হোসেন নিবির এবং আসাদুজ্জামানকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাটমোহর পৌর শহরের নারিকেল পাড়া মহল্লায় ‘চাটমোহর ইসলামিক হাসপাতাল’ নামে ওই ক্লিনিকে তাছলিমা খাতুনের সিজারিয়ান অপারেশনের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে অপারেশন টেবিলে রোগীকে সেলাই না করে পালানোর সময় সাদ্দাম হোসেন এবং আসাদুজ্জামানকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। আর সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় ক্লিনিক মালিক আমির হোসেন বাবলু।
পরে শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাছলিমা খাতুনকে রাতেই পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড় গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, তাছলিমা খাতুনের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে বুধবার অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। সেইসাথে পলাতক ক্লিনিক মালিক বাবলুকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh