পান চাটিয়া, গোল্ডেন ঝাউ, লিটল স্টার, পাইন ঝাউ, লন্ডমেক্স, অর্কিড, স্নোবল, জারভেরা, ক্যালেনডোলা, ক্যাপসিকাম, গ্লাডিওলাস, গোলাপ, গাদাসহ নাম না জানা শত ফুলের সমাহার। এ যেন এক ফুলের বাগান। এমনই সব বাহারী ফুল গাছের সমাহার নিয়ে পাবনায় দশদিনব্যাপী পুষ্প মেলার আয়োজন করেছে জেলা কৃষি বিভাগ ও নার্সারী মালিক সমিতি।
শনিবার বিকেলে পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামারবাড়ি চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে পুষ্পমেলার উদ্বোধন করেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আজাহার আলী, জেলা নার্সারী মালিতক সমিতির সভাপতি মো: আনিসুর রহমান, পাবনা কৃষি সম্প্রসারনের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ শিখন, জেলা পাট চাষী সমিতির সভাপতি শাহাদত হোসেন প্রমুখ।
জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আয়োজিত মেলার ১৭টি স্টলে দেখা মিলছে নানা জাতের বাহারী সব ফুলের। প্রথমদিনে দর্শানার্থীদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে।
মেলায় আসা কয়েক দর্শনার্থী বলেন, শহরের যান্ত্রিকতার মাঝে ফুলমেলার আয়োজন নি:সন্দেহে ভাল উদ্যোগ। তবে এত ছোট পরিসরে এই মেলা মন ভরাতে পারছেনা। সেইসাথে ফুলমেলা নিয়ে তেমন প্রচারণা নেই। তাদের প্রত্যশা, আরো বড় পরিসরে ফুলমেলা আয়োজনের।
পাবনা জেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান জানান, বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ স্থান সংকুলান না হওয়ায় ইচ্ছা থাকলেও বাড়ানো যাচ্ছে না স্টলের সংখ্যা। গতবছর যেমন সাড়া পাওয়া গিয়েছিল, এবারও তেমনি সাড়া মিলবে বলে আশা করেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: আজাহার আলী জানান, অন্য ফসলের চাইতে ফুল চাষ দ্বিগুন লাভজনক হওয়ায় জেলার কৃষকদের মাঝে ফুলচাষের আগ্রহ বাড়ছে। পাবনা জেলার মাটি ও আবহাওয়া ফুলচাষের উপযোগী হওয়ায় ১৬-১৭ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হচ্ছে। যা থেকে উৎপাদিত ফুলের বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।
গত বছর পুষ্পমেলা থেকে ১৫ লাখ টাকার ফুলগাছ বিক্রি হয়েছিল বলে জানান তিনি।
গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, পাবনা জেলা কৃষিতে অভুতপূর্ব সাফল্য হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলাতে ফলের আবাদ বেশ বেড়েছে। এলাকা জুরে শুধু বাগান। তবে ফল ও ফুলের আবাদ বৃদ্ধি করতে গিয়ে জীবন ধারনের জন্য খাদ্য ঘাটতি যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি কৃষি দফতরের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, পাবনা জেলা কৃষিতে অপ্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করলেও জেলাকে কৃষিবিদ সৃষ্টি হবার কোন সুযোগ নেই। সে কারনে জেলাতে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। জেলাতে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রিন্স এমপির দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, সংসদে পাবনা জেলাতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য এমপি মহোদয় জোরালো ভুমিকা পালন করবেন। আশা করি তিনি বিফল হবেন না।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign