পাবনা শহরে অভিযান চালিয়ে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে র্যাব সদস্যরা। শুক্রবার সকালে শহরের পৈলানপুর মহল্লার সবেদার বাগান থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় দুইজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো-রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার সপুরা মিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল হানিফের মেয়ে শিমু শেখ (৩২) ও নাটোর সদর থানার কানাইখালী চৌধুরীপাড়া মহল্লার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুল ওয়াহাব (২৬)।
উদ্ধারকৃত দুইজন হলো-রাজবাড়ি সদর উপজেলার মতিয়াগাছি গ্রামের ওমর ফারুকের স্ত্রী কারিমা খাতুন (১৮) ও একই গ্রামের সুমন মোল্লার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি (১৮)।
র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানাী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার আমিনুল কবীর তরফদার জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে কারিমা খাতুনের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য শিমু শেখ। পরে মোবাইল ফোনে তাকে মোটা অংকের বেতনে বিদেশে চাকুরী দেবার প্রলোভন দেয় শিমু ও ওয়াহাব। ভালো চাকুরী ও উন্নত জীবন যাপনের আশায় ভিকটিম কারিমা তার স্বামীকে না জানিয়ে পাবনায় আসামীদের ভাড়া বাসায় চলে আসে। স্ত্রীকে না পেয়ে ওমর ফারুক র্যাব-১২ পাবনায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানের পর মোবাইলের কলের অবস্থান ধরে শুক্রবার সকালে পাবনা শহরের পৈলানপুর মহল্লার একটি তিনতলা বাড়ি থেকে শিমু শেখ ও ওয়াহাবকে আটক করে র্যাব সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় দুই ভুক্তভোগী নারীকে।
র্যাব জানায়, আটক দুইজন দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের টার্গেট করে তাদেরকে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে তাদের নিকট নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাদের দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে। কিছুদিন পরে ভুক্তভোগী নারীদের ঢাকাসহ দেশের বাইরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রয় করে দেয়।
এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়েরের পর ওই মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh