‘এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে, যেদিন হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জাতি গোত্র নাহি রবে’ এমন বানী নিয়ে পাবনায় নবমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো দুইদিনব্যাপী লালন স্মরণ উৎসব।
লালন স্মরণ পরিষদের উগ্যোগে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত উৎসবের সমাপনী দিনে রোববার আলোচনা সভার সভাপত্বি করেন পাবনা বই মেলা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক লেখক হাবিবুর রহমান স্বপন।
প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি গোলাম রব্বানি, অধাপক আব্দুদ দাইন ও চৌধুরী নাসির উদ্দিন।
জেলা প্রশাসক বলেন কবীর মাহমুদ বলেন, ‘আশ্চর্যজনকভাবে শিক্ষত লোকেরা এখন ক্রমান্বয়ে মৌলবাদী এবং উগ্রবাদী চেতনার দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। অথচ এই দেশে লালন সাঁইজির মতো মহান ভাববাদী মানবতাবাদী ব্যক্তির জন্ম। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে সচেষ্ট হতে হবে।’
সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট লালনগীতি শিল্পী টুনটুন বাউল, গৌতম কুমার বিশ্বাস, হানজালা, আবু সাইদ, রবিউল ইসলাম, রজনি সরকার, আরশি পাগলি কাকন, আক্কাস আলী, আলতাফ ফকির প্রমুখ। গভীর রাত পর্যন্ত প্রচুর দর্শক শ্রোতা মন্ত্রমুগ্ধের মতো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এর আগে গত শনিবার রাত আটটায় পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠের সাংস্কৃতিক মঞ্চে পঞ্চ মঙ্গল প্রদিপ জ্বালিয়ে উৎসব উদ্বোধন করেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। লালন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান ছিলেন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য দুদকের সাবেক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপপু। উৎসবের প্রথমদিন লালন সঙ্গীত পরিবেশন করে শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করেন লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন। এছাড়াও স্থানীয় শিল্পীরা লালন সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh