শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩১ তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে পাবনায় শুরু হয়েছে দুইদিনব্যাপী মহোৎসব।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জন্মস্থান পাবনার হেমায়েতপুর সৎসঙ্গ আশ্রমে উৎসবের উদ্বোধন করেন আশ্রমের উপদেষ্টা কমল সেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দন কুমার চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় জ্যোতি কুন্ডু।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ পাবনার সহসভাপতি ড. রবীন্দ্র নাথ সরকার। সঞ্চালনায় ছিলেন সভাপতি ঋত্মিক অধ্যাপক মহিত কুমার বিশ্বাস।
দুইদিনের এই মহোৎসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সৎসঙ্গ কৃষ্টি পতাকা উত্তোলন, ধর্মীয় শোভাযাত্রা, প্রদীপ প্রজ্বালন, বিশেষ প্রার্থনা, গঙ্গাস্নান, ধর্মীয় আলোচনাসহ নানা পূজা-অর্চনা। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় রয়েছে ভক্তিমূলক গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) উৎসবের দ্বিতীদনে সকালে প্রার্থনা সভা ও সম্বলপুর শিবগঙ্গা ঘটে গঙ্গা স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
১৩১ বছর আগে মহাপুরুষ শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র পাবনার হেমায়েতপুরের এই মাটিতে জন্মেছিলেন। এখানেই তিনি বড় হয়েছেন, হেঁটেছেন। ভালোবেসেছেন মানুষকে, মাটিকে আর চারপাশের সব কিছুকে। এখানেই তিনি সাম্য ও অসাম্প্রদায়িকতার বাণী দিয়ে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের মন জয় করেন। সেই মহাপুরুষের এই জন্মদিনে তাঁর ভক্তরা ছুটে আসে প্রতিবছর আবির্ভাব দিবস হিসেবে পালন করতে। উৎসব সফল করতে আশ্রম কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নেয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
এদিকে ঠাকুরের আবির্ভাব মহোৎসবে আশ্রমের মাঠে বসেছে মেলার পসড়া। স্থান করে নিয়েছে নানা ধরণের স্টল ও নাগরদোলা। দেশ বিদেশ থেকে প্রচুর ভক্ত, অনুসারী ও দর্শণার্থীদের আগমন হয়েছে।
এদিকে যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা বা নাশকতা রোধে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
এ উৎসবে ভারত ও নেপালসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের প্রায় ২০ হাজার ভক্ত অংশ নিয়েছেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh