পাবনার হিমাইতপুরে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩২তম আবির্ভাব-তিথি ও ভাগীরথী পূণ্যস্নান মহোৎসব।
শুক্রবার রাত ৯টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মহোৎসব উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি প্রিন্স বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে ধর্মীয় গোড়ামী নয়, দলমত, ধর্ম নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সেখানে সা¤প্রদায়িকতার বিষয় আসেনি। তেমনি এদেশ আপনাদের। এ ভূমিও আপনাদের। আপনারা এদেশের নাগরিক। আপনাদের শরীরে সংখ্যালঘু লাগানোর প্রশ্নই আসে না।
এমপি প্রিন্স আরো বলেন, ধর্মীয় গোড়ামি নয়, আসুন ধর্ম-বর্ণ জাতি ভেদাভেদ ভুলে দেশ ও দশের উন্নয়নে অবদান রাখার চেষ্টায় নিজেদের নিয়োজিত করি। নিজ নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয়ে কাজ করি। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুক‚লচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সভাপতি ড. রবীন্দ্রনাথ সরকারের সভাপতিত্বে তিনদিনব্যাপী এই মহোৎসবের অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসব কমিটির আহবায়ক ড. নরেশ চন্দ্র মধু।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব রনজিত দাস, পাবনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম-পিপিএম। প্রধান বক্তা ছিলেন কলকাতা থেকে আগত ঠাকুরের একনিষ্ঠ অনুসারী প্রলয় মজুমদার।
অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য দেন কমল সেন, যুগোল কিশোর ঘোষ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনে ছিলেন আশ্রমের সাবেক সম্পাদক যুগোল কিশোর ঘোষ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাংসদ গোলাম ফারুক প্রিন্সকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন যুগোল কিশোর ঘোষ।
উদ্বোধনী দিনে সকাল ভোরের প্রার্থনা ও সদগ্রন্থাদি পাঠ দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পর্যায়ক্রমে কর্মী বৈঠক, ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান, রামায়ণ গান, যুব সম্মেলন, সান্ধ্য প্রার্থনা, বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান, ধর্মসভা, লোকরঞ্জন ও বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
এই মহোসৎব ঘিরে দেশের বিভিন্ন জেলাসহ পার্শ্ববর্তী দেশ কলকাতা থেকে ঠাকুরের ভক্ত ও অনুসারীরা এসেছেন। সার্বিক আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আশ্রমে আসার ভক্তগণেরা।
সার্বিক আইন শৃংখলা ও নিরাপত্তার বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, তিন স্তরের আইন শৃংখলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। ১৪৯ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের পাশাপাশি ডিবি, এসবি, এনএসআই, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা যে কোন ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সর্বদা প্রস্তুুত। অনাহুত ঘটনা এড়াতে সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, আশ্রমের এই মিলন মেলায় দেশ বিদেশ থেকে যে সকল ভক্ত ও অনুসারীরা এসেছে তারা নিরাপদে বাড়ি ফিরবেন এমন বিষয়টি মাথায় নিয়ে জেলা পুলিশ কাজ করছে। তার দাবী, শান্তিপূর্ণভাবেই এই মিলন মেলা সম্পন্ন হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign