পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীদাসখালি-রাউৎকান্দি রাস্তার ওপরে নবনির্মিত সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বেড়িয়ে পড়েছে রড়, রেলিং থেকে খুলে পড়ছে পাথর ও সিমেন্ট। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে এমন অবস্থা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
অতিসম্প্রতি সেতু ফাটলের ছবি তুলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নূরুজ্জামান ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর বিষয়টি ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপর তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। তবে ঠিকাদার বলছেন, কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে মাটি ফেলার কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় লোকজন হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রেলিং ভেঙ্গে দিয়েছে।
জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৯ টাকা ব্যায়ে শ্রীদাস খালি-রাউৎকান্দি রাস্তায় জাফরের জমির সামনে ৩২ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতু/কালভার্ট নির্মাণের কাজ পায় সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার মেসার্স সাজেদা এন্ড আতাহার নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু কাজটি তারা চাটমোহরের স্থানীয় ঠিকাদার মো. সিরাজুল ইসলামকে দিয়ে সম্পন্ন করায়। শুরুতে এলাকাবাসী নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদ জানালেও ঠিকাদারের লোকজন তাদের মতো করে কাজ চালিয়ে যান।
অভিযোগ রয়েছে সেতুর বেশিরভাগ কাজ রাতের বেলায় করেছেন শ্রমিকরা। অথচ নির্মাণের একমাসের মাথায় সেতুর বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কে মাটি না দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে।
এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ। ফসলাদি বাজারে আনা-নেয়া করতে বেগ পেতে হচ্ছে কৃষকদের। জোড়াতালির সেতুটি কতদিন টিকবে তা নিয়ে সংশয় এলাকাবাসীর।
বিষয়টির ব্যাপারে মুল ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে স্থানীয় ঠিকাদার মো. সিরাজুল ইসলামের মোবাইলে কল দিলে তিনি বলেন, আমি এবং পিআইও স্যার সেতুটি দেখে এসেছি। তিনি (পিআইও) ঢাকার ইঞ্জনিয়ারদের সাথে কথা বলেছেন। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সত্য নয়। যেহেতু জুন ক্লোজিং ছিল সেখানে মাটি দেওয়ার তাড়া ছিল। তাই কিছু অংশে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া স্থানীয় লোকজন হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রেলিং ভেঙ্গে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম শামীম এহসান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সেতুর ফাটল অংশগুলো দেখেছি এবং ঢাকার ইঞ্জিনিয়াদের সাথে কথা বলেছি। সেই মোতাবেক ঠিকাদারকে ত্রুটিপূর্ণ জায়গাগুলো মেরামত করে দিতে বলা হয়েছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign