নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) পাবনা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করেছেন জেলা আওয়ামীলীগসহ জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিককর্মীরা।
দিবসটি পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
এ সময় শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে ফানুস উড়িয়ে আতশবাজি ফোটানোর মধ্য দিয়ে মুক্তির আনন্দ উদযাপন করেন তারা।
পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা শত্রুমুক্ত হলেও পাবনা ছিল হানাদার পাক বাহিনীর দখলে। পাবনার অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তীব্র লড়াইয়ে পরাস্ত হয়ে ১৮ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় তারা।
প্রিন্স বলেন, এই গৌরবময় আনন্দের দিনটির কথা নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। পাবনার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, পাক বাহিনী আর তার দোসর দের হত্যাযজ্ঞ, নির্মমতার কথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামীতে আরো বর্ধিত কলেবরে পাবনা মুক্ত দিবস পালন করা হবে।
অপরদিকে, দিনটি পালনের জন্য বুধবার দুুপরে শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে থেকে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিজয় র্যালী করে মুক্তিযোদ্ধা, সাংক্কৃতিকর্মী ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিজয় র্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতিস্তম্ভ ‘দূর্জয় পাবনা’য় পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন তারা। পুস্পার্ঘ অর্পনের পরে হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতে সকল বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পরে সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণমুলক বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম. আব্দুল রহিম পাকন, সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোমিনুর রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের সভাপতি আবুল কাশেম, নাট্যককর্মী মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
আলাচনা পর্বে বক্তারা আগামী বছরে পাবনা হানাদার মুক্ত দিবসটি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে এই দিনটিকে যাতে পালন করা হয় তার জন্য সরকার ও প্রশাসনের কাজে জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর পাক-হানাদার মুক্ত হয় পাবনা সদর উপজেলা। এই দিনে ভারতীয় মিত্রবাহীনির কাছে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে পাবনা থেকে চলে যায় পাকহানাদার বাহিনী।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign