চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ্য মো. মিজানুর রহমানের নানা অনিয়ম-দুর্ণীতির প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে একই কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক। তারা গত কয়েকদিন ধরে পৌর শহরসহ উপজেলা জুড়ে লিফলেট বিতরণ করেছেন। অধ্যক্ষর দুর্ণীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে করা হয়েছে পোস্টারিং। রোববার হয়ে গেল মানববন্ধন।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্যোশাল মিডিয়াজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। ঝড় উঠেছে ফেসবুকে। কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বর্তমান যারা ওই কলেজে পড়াশোনা করছেন বেশিরভাগই প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্নভাবে।
এর সাথে সামিল হয়েছেন জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। আর এবার ফেসবুকে সদ্য এসএসসি পাশ করা এক ছাত্রের আবেগঘন স্ট্যাটাস সবার মন কেড়েছে।
ফেসবুক পেজ চেতনায় চাটমোহরে দেয়া সেই ছাত্রের স্ট্যাটাসটি হুবহু তলে ধরা হলো খোঁজ খবরের পাঠকদের জন্য……………………………………
স্বপ্ন ভাঙার দায় নেবে কে??
আমার বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আয় সামান্য। আমার বাবা স্বপ্ন দেখত ছেলে এবার এসএসসি তে পাশ করলে ভর্তি করব চাটমোহর সরকারি কলেজে। যেদিন চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ সরকারি হলো সেদিন বাবা দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহ কাছে দুই তুলে প্রাণ ভরে দোয়া করেছিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য, চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ কে সরকারি করায়।
সেদিন থেকে স্বপ্ন দেখত যে আমাকে চাটমোহর সরকারি কলেজেই ভর্তি করবে। তাহলে ছেলে আমার, আমার কাছেই থাকবে, আমার ব্যবসার কাজে সাহায্য ও করবে এবং পড়তেও পারবে। এতে আমার খরচ কম হবে আমিও এই বয়সে একটু শান্তি পাব। যেহেতু কলেজ সরকারি হয়েছে, সেহেতু কম খরচে এবং ছেলেকে বাহিরে না পাঠিয়েই ভাল মানের শিক্ষা পাবে।
বাবা মনে মনে কত কিছু ভেবে ফেলেছে। রেজাল্টের কিছু দিন আগে বাবা আমায় জানালো তোকে কিন্তু চাটমোহর কলেজে ভর্তি করব। এতে তার অনেকটাই আর্থিক ও শারিরীক ভাবে শান্তি পাবে। আমিও বাবার কথা ও দেশ প্রেম ( চাটমোহরের প্রতি টান) এর কারনে রাজি হলাম বাবা আমি এখানেই থাকব, এখন আমাদের কলেজই সরকারি কলেজ তাই আর বাহিরে না গেলেও চলবে।
এর কিছু দিন পরই রেজাল্ট দিল। এখন ভর্তি নিয়ে তো আমার আর ভাবনা না যেহেতু আগেই ঠিক করে রেখেছি চাটমোহর সরকারি কলেজে ভর্তি হব। তো আমি বাবার থেকে টাকা চাইতে গেলাম চয়েস দেওয়ার জন্য। বাবা বলতেছে কোথায় চয়েস দিবু। আমি বললাম কেন বাবা সেটা তো আগেই ঠিক করে রাখছি চাটমোহর সরকারি কলেজে ভর্তি হব।
তখন বাবা বলতেছে না না, ওখানে ভর্তি হওয়া যাবে না। আমি বললাম কেন বাবা, তুমিই তো বলেছিলে চাটমোহর ভর্তি হতে এখন কেন মানা করছ? বাবা বলতেছে হ্যা, বলেছিলাম কিন্তু এখন আর ওখানে ভর্তি হওয়া যাবে না। আমি বললাম কেন?? বাবা বলতেছে কলেজে দূর্নীতি ঢুকছে, শিক্ষকদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হইছে।
এখন সরকারি হবে কি না তাই নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হইছে। তাই আর তোকে ওখানে চয়েস দিতে হবে না, তুই এখন রাজশাহীতে ভালো কলেজ গুলোতে চয়েস দিগা। আমি শুনে কেমন যেন হয়ে গেলাম সেদিন আর গেলাম না চয়েস দিতে। সেদিন সারাদিন ভাবলাম বাবা কথা বলল কিন্তু কথা গুলো শুনে মনে হলেও তিনি অনেক কষ্ট পেয়েছে। আমি ফেসবুকে আসলাম এসে দেখি সত্যি ফেসবুক জুড়ে ও একই খবর। পরে গিয়ে রাজশাহীতে চয়েস দিয়ে আসলাম।
কিন্তু আমার বাবার স্বপ্ন যে ভেঙে গেল এর দায় কার??
এখন বাহিরে পড়তে যে খরচ হবে এর ভার কে নিবে???
এসব দায় কার???
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign