পাবনার চাটমোহরে বনভোজনে যেতে না চাওয়ায় এবং চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় প্রধান শিক্ষককে হুমকি, ভয়ভীতি দেখিয়ে অশালীন আচরণ করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভুক্তভোগি প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল কাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষা অফিসার তামান্না ইসলানের নির্দেশে গুনাইগাছা ক্লাস্টারের প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে বনভোজনে যাওয়ার জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারী দিন ধার্য্য করেন কয়েকজন প্রধান শিক্ষক। এরজন্য গঠন করা হয় বনভোজন পরিচালনা কমিটি। বাধ্যতামুলক অংশগ্রহণের জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়।
মাথাপিছু চাঁদা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার টাকা। চাঁদা উত্তোলনের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় প্রধান শিক্ষক উজ্জল কুমার দত্ত ও দেল মাহমুদকে। এদিকে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদের বনভোজনে যেতে না চেয়ে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এরপর শিক্ষা অফিসার আশরাফুল ইসলাম গত ১১ ফেব্রুয়ারী তাকে (প্রধান শিক্ষক) ফোন দিয়ে বনভোজনে না গেলেও চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দেন এবং ভয়ভীতি দেখানোসহ অশালীন আচরণ করেন বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, শিক্ষা অফিসার আশরাফুল ইসলাম স্কুলের রুটিন মেরামতের কাজের সময় ঘুষ নেয়া, ইনস্যুরেন্স করার জন্য চাপ প্রয়োগ এবং মোবাইলের মাধ্যমে অফিস ক্লার্ককে দিয়ে স্কুল ভিজিট করার কথা অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই প্রধান শিক্ষক।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদের বলেন, ‘পারিবারিক অসুবিধার কারণে বনভোজনে যেতে না চাইলে শিক্ষা অফিসার স্যার আমাকে মোবাইলে নানা ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। তিনি আমাকে জোর করে বনভোজনে নিয়ে যেতে পারেন না। মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আমি অভিযোগ দিয়েছি।
সহকারি শিক্ষা অফিসার তামান্না ইসলাম বলেন, ‘বনভোজনে অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সেটা শিথিত করা হয়েছে।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, অধীনস্ত কেউ একটু বাঁকাভাবে কথা বললে একটু তো বলতেই হয়। তাকে সেভাবে কোন বলা বলা হয়নি।’
ঘুষ নেয়াসহ অন্যান্য অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
অভিযোগ প্রাপ্তির ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমার জানান, ‘অভিযোগ পত্র এবং একটি অডিও ক্লিপ পেয়েছি। এর আগেও ডিসি স্যারের কাছে বেশ কয়েজন শিক্ষক তার (শিক্ষা অফিসার) বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ দিয়েছেন। সবগুলোর তদন্ত করা হবে। তদন্তে প্রমাণিত হলে বিভাগীয় শাস্তির জন্য সুপারিশ করা হবে।’
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign