পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের বড়শালিখায় এক প্রবাসীর বসতবাড়ীর জায়গা অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা, হুমকি-ধামকি এবং মারপিটের ঘটনার প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিক দাবিদার কেয়া পারভীন।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বড়শালিখায় তার বসতবাড়ীতে সাংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কেয়া পারভীনের মা রাফিয়া পারভীন মুক্তি।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, আমার মেয়ে কেয়া পারভীন, স্বামী- আবুল কালাম আজাদ, সাকিন- বড়শালিখা, ডাকঘর- চাটমোহর নতুন বাজার, উপজেলা-চাটমোহর, জেলা-পাবনা প্রায় দেড় বছর যাবত জনৈক রেজাউল করিমের কাছ থেকে ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট চাটমোহর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের ৪৬৭১ নম্বর বিক্রয় কবলা দলিলমূলে খরিদ করে বড়শালিখা মৌজার আর এস ২৮৭ নম্বর দাগের ৫ শতক জোতভূমি ও তৎউপরিস্থিত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি কিনে বসবাস করে আসছেন।
সম্প্রতি ওই সম্পত্তির পূর্বের মালিক মদিনা খাতুন ও তার ৪ ভাই যথাক্রমে হেলালুর রহমান, হুমায়ন কবীর চুনু, মোসলেম উদ্দিন, আমজাদ হোসেন, সর্ব পিতা- মোসলেম উদ্দিন জোরপূর্বক তার মেয়ের ক্রয়কৃত সম্পত্তি ফেরত চান। বিষয়টি চাটমোহর থানা পুলিশকে অবগত করা হলে থানা পুলিশ উভয়পক্ষকে থানায় হাজির হবার কথা বললে মদিনা গং হাজির না হয়ে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) বরাবর মিথ্যে অভিযোগ এনে আবেদন করেন।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সঠিক থাকায় ওসি চাটমোহরকে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে ব্যবস্থা নেবার জন্য নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ওসি এলাকার শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।
কিন্তু মিলন, মদিনা, হেলালুর গং ওসি’র নির্দেশ উপেক্ষা করে গত ২৮ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে পৌর সদরের বালুচর মহল্লার এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে মিলন হোসেন, বড় শালিখা গ্রামের দেরাজ উদ্দিনের ছেলে হেলালুর রহমান, হুমায়ন কবীর চুনু, মোসলেম উদ্দিন ও আমজাদ হোসেন, আনোয়ার হোসেনের ছেলে শান্ত হোসেন, ইসরাইল হোসেনের ছেলে রাজীব হোসেন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা ধারালো হাসুয়া, লোহার রড, কাঠের বাটাম, বাঁশের লাঠিসোটাসহ রাফিয়া পারভীন মুক্তির ছেলে সোহেল হেসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় তারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ০৫। তারিখ- ০৪/১২/১৯ ইং।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। গত ০৩ ডিসেম্বর রাতে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কেয়া পারভীনের বাড়ীর সীমানার খুঁটি, কাঁটাতার জোরপূর্বক মিলন, হেলাল, আছানুর তুলে ফেলে এবং ঘর-দরজা-জানালা ভাংচুর করে। পরদিন ০৪ ডিসেম্বর বিকেলে কেয়া পারভীন তা কেনা জায়গা দেখতে গেলে মদিনা, মিলন, হেলাল গং তার সাথে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয় এবং মারমুখী হয়ে ওঠে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক থানা পুলিশকে অবগত করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তাদের উপস্থিতিতে মদিনা, মিলন, হেলালসহ ২০/২৫ জন মহিলা-পুরুষ মিলে জিআই পাইপ, টাঙ্গি, লোহার রড, কাঠের বাটামসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে।
এসময় তারা পুলিশ সদস্যদের উপরও অতর্কিত হামলা করে আহত করে। পুলিশ সদস্যসহ ১০/১২ জন গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে বড়শালিখার কাশেম প্রামাণিকের ছেলে মো. হোসেন আলী ও একই গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে মো. রফিকুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকিদের চাটমোহর ও পাবনায় চিকিৎসা করানো হয়। এ ঘটনায় চাটমোহর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং ০৬। তারিখ- ০৫/১২/১৯ ইং।
কেয়া পারভীনের মা রাফিয়া পারভীন বলেন, স্বাধীন দেশে আমার মেয়ের প্রবাসী স্বামীর কষ্টে অর্জিত অর্থের বিনিময়ে ক্রয়কৃত বসতবাড়ীতে বসবাস করা আমাদের জন্য আজ কঠিন হয়ে পড়ছে। আমরা মহিলা হিসেবে বড় অসহায় হয়ে পড়ছি। আমরা আমাদের ক্রয়কৃত বাড়ীতে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে চাই।
তিনি সাংবাদিকদের কাছে তার মেয়ের উপর হামলা,মারপিটের সুষ্ঠু বিচার দাবী করে শান্তিতে বসবাসের জন্য অনুরোধ জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে কেয়া পারভীনের পিতা আনোয়ার হোসেন কায়েম, পূর্বের জমির মালিক মো. রেজাউল করিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh