পাবনার চাটমোহর ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা গুনাইগাছা ইউনিয়নের বড় শালিকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে আহতদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিত শান্ত করে।
হাসপাতালে ভর্তিকৃতরা হলেন, বড়শালিকা গ্রামের জব্বার প্রামানিকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, মৃত কেয়াম উদ্দিনের ছেলে আবদুল মান্নান তার ছেলে মানিক হোসেন, অনিক হোসেন, ইরাদ হোসেন তার স্ত্রী আশা খাতুন, কেয়ামত উদ্দিনের স্ত্রী হাজেরা খাতুন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে বড় শালিকা গ্রামের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে প্রতিবেশী রজব আলীর ছেলে সাজেদুল এক কিশোরকে দিয়ে তাকে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। পরে ওই স্কুল ছাত্রী সেখানে গেলে সাজেদুর ও মান্নানের ছেলে অনিক হোসেন মোবাইল দিয়ে ওই ছাত্রীর ছবি তোলে এবং হাত ধরে পাশের একটি ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
পরে ওই স্কুলছাত্রী সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে বললে সেদিন রাতেই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে ইভটিজিংয়ের বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হওয়ার একপর্যায়ে ওই স্কুল ছাত্রীর স্বজনরা অভিযুক্তদের লোহার রড, বাঁশ দিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে চাটমোহর থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় উভয়পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য মেয়র মহোদয় সময় নিয়েছে। আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় দুই পক্ষকে তিনি নিয়ে বসবেন। মীমাংসা না হলে থানায় মামলা নেয়া হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign