দৈনন্দিন জীবনে আমাদের এমন অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয় যাদের মুখের ভাষা খুব খারাপ! কথায় কথায় শুধু গালিগালাজ করে! বিভিন্ন ধরণের গালাগালি মুখে লেগে থাকে। বিভিন্ন ‘মধুর বচন’ পরিবারের গুরুজন বা শিশুদের সামনে বা পাড়া-প্রতিবেশীদের সামনে মুখ ফসকে বেরিয়ে পড়লেই কেলেঙ্কারি!
তবে যে যাই বলুন না কেন, ইদানীং মনোবিজ্ঞানী ও গবেষকেরা কিন্তু ‘কু-কথা’ বলার এই অভ্যাসকেই আমাদের সুস্থ থাকার সহজ উপায় হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন। মানসিক চাপ, মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা, অবসাদ কমানোর ক্ষেত্রে গালিগালাজের অভ্যাস খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। একাধিক মার্কিন গবেষণায় যার প্রমাণ মিলেছে। এই ধারণার সঙ্গে একমত ব্রিটিশ গবেষক এবং মনোবিজ্ঞানীরাও।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক ও ফলিত ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কিরিকুস অ্যান্টনিও গণমাধ্যমকে জানান, গালিগালাজ আসলে মন থেকে রাগ, ক্ষোভ বের করে দিয়ে মানসিক চাপ কাটানোর একটি সহজ উপায়।
তার মতে, যে সব মানুষ উত্তেজিত হলেও গালিগালাজ দিতে পারেন না বা দেন না, তাদের মধ্যে মানসিক অবসাদ, উচ্চ রক্তচাপ-সহ নানা স্নায়বিক সমস্যা দেখা যায়। শুধু তাই নয়, কখনও এই সব ব্যক্তিদের মধ্যে দ্বৈত ব্যক্তিত্বের (split personality) সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তুলনায় যারা সহজে গালাগাল দিয়ে ফেলেন, তারা অনেক বেশি সুস্থ থাকেন।
তাই মার্কিন গবেষক এবং মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ, অবসাদ, ক্ষোভ কাটাতে প্রয়োজনে একান্তে গালিগালাজ দেওয়া ভাল। তবে স্থান-কাল-পাত্র জ্ঞান থাকাটা অত্যন্ত জরুরি! না হলেই বিপদ!
তথ্যসূত্র-ইন্টারনেট
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign