হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে সংসারের সবার মুখে অন্ন তুলে দিতেন বছর চল্লিশের জিলাল হোসেন। পরিশ্রমী এই যুবক কাজের নেশায় ছিলেন বিভোর। সকাল হলেই বের হতেন উপার্জনের আশায়।
তার আয়েই বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানের অন্নের জোগান হতো। কিন্তু এখন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি জিলাল ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী!
বিছানা তার এখন নিত্য সঙ্গী। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না দরিদ্র পরিবারটি। মৃত্যুর প্রহর গুনছে জিলাল! তবে অপারেশন করানো হলে সুস্থ হতে পারে জিলাল এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসক। এর জন্য প্রয়োজন ৫/৬ লাখ টাকা।
পাবনার চাটমোহর উপজেলা মূলগ্রাম ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ছকির প্রামানিকের ছেলে জিলালের এমন অবস্থা দেখে দিশেহারা স্ত্রী রুমা খাতুন। স্বামীকে বাঁচাতে ছুটছেন দ্বারে দ্বারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় শুয়ে মাথা ও চোখের অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন জিলাল হোসেন। কাউকে তেমন চিনতে পারছেন না। স্বামীর এমন করুণ অবস্থা দেখে অঝোরে কেঁদে চলেছেন স্ত্রী রুমা খাতুন। আর বাবার এমন অবস্থা দেখে কান্নাকাটি করছে ছেলে রুবেল ও মেয়ে জিম।
যার আয়ে সংসার চলতো সেই ব্যক্তি অসুস্থ হওয়ার পর থেকে সংসারে জেঁকে বসেছে অভাব। অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটছে পরিবারটির। অপারেশনের টাকা জোগাড় করতে দ্বারে দ্বারে ছুটছেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু কোথাও মিলছে না সহযোগিতা-এমনটাই জানালেন স্বজনরা।
বাবা ছকির হোসেন জানান, প্রথমে পাবনা ও রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয় জিলালকে। সেখানে ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষায় দেখা যায় ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত জিলাল। পরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানেও একই কথা বলেন ডাক্তার।
এরপর ধারদেনা করে ঢাকা শের-ই বাংলা নগরে ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় জিলালকে। সেখানে অধ্যাপক ডা. মো. এম এস জহিরুল হক চৌধুরীকে দেখানোর পর তিনিও একই রোগের কথা বলেন। তবে অপারেশন করালে জিলালের ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান ওই চিকিৎসক।
এর জন্য প্রায় ৫/৬ লাখ টাকা প্রয়োজন। চার শতক জমির ওপর টিনের ছাপড়া ঘর কিছুই সম্বল নেই পরিবারটির।
এদিকে বিশাল অংকের টাকার কথা শুনে জিলালকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন দরিদ্র পরিবারটি। টাকার অভাবে এখন বাড়িতে বসে মৃত্যুর প্রহর গুনছে জিলাল! তার চিকিৎসার খরচ যোগাতে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন পরিবারের সবাই। কোথাও মিলছে না সহযোগিতা! এমন অবস্থা দেখে পাগলপ্রায় পরিবারের সবাই।
অশ্রুসিক্ত নয়নে স্ত্রী রুমা খাতুন বলেন, ‘গরীবের ঘরে এমন বড়লোকি রোগ হয় কেন? আমার স্বামীকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করেন ভাই। তার (জিলাল) কিছু হলে আমরা ও ছেলে-মেয়ের কী হবে? আমরা যাবো কোথায়? আমাদের দুই সন্তান তার বাবার এমন কষ্ট দেখে শুধুই কাঁদে।’ স্বামীকে বাঁচাতে তিনি সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
জিলালের পরিবারকে সহযোগিতা করতে চাইলে এই নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে— ০১৭৬৩-৫৫০১৫৬ (বিকাশ)
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ WebNewsDesign