ইচ্ছাশক্তি থাকলে কেউ পিছিয়ে থাকে না এবার সেই কথাটি প্রমাণ করল পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধূলাউড়ি ঘোষপাড়া গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী ও বধির মিতু রানী দাস। সোমবার প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলে দেখা গেছে মানবিক বিভাগ থেকে ৪.২২ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছে মিতু। তার ইচ্ছা শক্তির কাছে হার মানলো সব প্রতিবন্ধকতা।
মিতু ধূলাউড়ি গ্রামের দিনমজুর কুটিশ্বর দাস ও গৃহিণী সুমিত্রা রানী দাসের ছোট মেয়ে। উপজেলার হরিপুর দূর্গাদাস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। জন্ম থেকেই মিতু বাকপ্রতিবন্ধী ও বধির।
পাশাপাশি সে একজন ভাল মানের অংকন শিল্পী। কোথাও না শিখেও শুধুমাত্র চোখের দেখায় প্রতিনিয়ত এঁকে চলেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ নানা গুণীজনের ছবি।
এদিকে পাশ করার খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে মিতুকে নিজ অফিসে ডেকে মিষ্টি খাওয়ালেন ইউএনও সরকার অসীম কুমার। এ সময় ইউএনও’র পা ছুঁয়ে ছালাম করতে গেলে তিনি মিতুর হাতে উপহার তুলে দেন। একজন ইউএনও’র এমন মানবিকতা দেকে উপস্থিত সবাই আবেগ তাড়ির হয়ে পড়েন। এরআগে মিতুকে নিয়ে খোঁজ খবর ডট নেটসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমার তার পড়াশোনসহ অংকন শেখার দায়িত্ব নেন।
ইউএনও সরকার অসীম কুমার বলেন, মিতুর মতো মেয়েরা অসহায় নয়, দেশের সম্পদ। প্রতিবন্ধিতা তার সফলতার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেনি। ও (মিতু) যতদূর পড়াশোনা করতে চায় আমি তাকে সহযোগিতা করবো। সে একজন অসাধারণ প্রতিভাবান মেয়ে। বাকপ্রতিবন্ধী ও বধির হয়েও মিতুর পাশ করায় আমি অনেক খুশি হয়েছি। ভবিষ্যতে তাকে আরও সহযোগিতা করা হবে বলে জানান ইউএনও।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |
আইটি সাপোর্ট ও ম্যানেজমেন্টঃ Creators IT Bangladesh